সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজভী ও তার পরিবারের প্রতিবাদ

0
1031

প্রকাশিত মিথ্যা ভিত্তিহীন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাগন্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদে বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাজভী ও তার পরিবার প্রতিবাদ জানিয়েছে উক্ত কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।
গত ৭ মার্চ রবিবার একটি ফেসবুক পেইজ ও তার অনুসারীরা কিছু ফেসবুক আইডি থেকে ছড়ানো মিথ্যা প্রভাগণ্ডা প্রতিবাদে আজ ১১ ই মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাজভী ও তার পরিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমকে লিখিত প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করেন। প্রতিবাদলিপিতে শফিকুল ইসলাম রাজভী ও তার পরিবার উল্লেখ্য করেন-“অপিরিচিত নাম সম্ভবল একটি ফেসবুক পেইজ থেকে আমার পরিবারের বিভিন্ন সদস্যকে নিয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রণোদিত কাল্পনিক পোস্ট দেয়া হয়। যা দেখে আমার পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। উক্ত পোস্টের কারণে একটি মহল শান্তিপ্রিয় এলাকাকে উত্তপ্ত করে অসৎ উদ্দেশ্যে তাদের অনৈতিক সুবিধা হাসিল করার চেষ্টায় লিপ্ত। প্রকৃতপক্ষে বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাজভীর বাবা বিজয়নগর উপজেলার ৬নং পত্তন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোঃ শামসুল আলম ভূঁইয়া বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান কার্যকরী কমিটির একজন সদস্য। তিনি সাবেক পত্তন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পরপর তিনবার নির্বাচিত সফল ইউপি মেম্বার হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। জনপ্রিয়তার কারণে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহে দীর্ঘ বিরতির পর আমরা ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলে নিজেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনগণের সেবায় আবারও নিয়োজিত করার ঘোষণা দেওয়ার পরে; একটি বিশেষ মহল তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ধরনের প্রভাগন্ডা ছড়িয়ে তার সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
উক্ত পরিবারটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পূর্বপুরুষ থেকে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বর্তমানে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার পরিচালনা করলেও পরিবারের থেকে কেহই ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত হয়নি।এমনকি সরকারি বিভিন্ন সুবিধা ভোগের তাড়না থেকে নিজস্ব ব্যবসা ডেইরি ফার্ম ও মৎস্য ব্যবসার সাথে জড়িত থেকে সৎ ভাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। প্রতিবাদলিপিতে আর উল্লেখ করেন, শফিকুল ইসলাম রাজভী বর্তমান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা সত্ত্বেও কোন প্রকার টেন্ডার বাণিজ্য; এমনকি কোন দপ্তরে তদবির বাণিজ্য সাথে নিজেকে ন্যূনতম সম্পৃক্ততা রাখেনি। প্রতিবাদলিপিতে আরো উল্লেখ করেন, শফিকুল ইসলাম রাজভীর ছোট ভাই আতিকুল ইসলাম রিগান; বর্তমানে ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সপ্তম সেমিস্টার অধ্যায়নরত, বর্তমানে সে ঢাকাতে বসবাস করছে এবং সে সাবেক আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দেশজুড়ে সুনাম ও পরিচিতি রয়েছে। তাকে নিয়ে নোংরা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটান।যা আতিকুল ইসলাম রিগানের অনুসারীরা দেশজুড়ে নিন্দা প্রকাশ করার পাশাপাশি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। উক্ত প্রতিবাদ লিপিতে শফিকুল ইসলাম রাজভী ও তার পরিবার এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা লক্ষ্যে মৌখিকভাবে বিজয়নগর থানায় বিষয়টি অবহিত করেন। এবং এ ধরনের অপচেষ্টায় লিপ্ত কারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন-মিথ্যা বানোয়াট কাল্পনিক প্রভাগণ্ডা ছড়িয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা থেকে বিরত হয়ে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও তিতাস পাড়ের উন্নয়নের রূপকার যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি মহোদয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ড কে এগিয়ে নিতে সম্মিলিত ভূমিকা রাখি।