ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মৃত ভাইয়ের সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে বিধবা ভাবিকে নির্যাতন ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেবর ও ভাশুরের নির্যাতন সইতে না পেরে শেষপর্যন্ত দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয় ভুক্তভোগী রুনা আক্তার। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে -২ মামলা দায়ের করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা যায়,সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর স্ত্রী রুনা আক্তার। মামলার আসামী মহরম আলী সম্পর্কে রুনা আক্তারের দেবর। শাহ আলম,স্বপ্না বেগম প্রকাশ আঙ্গুরা,তানিয়া আক্তার ও হাসেনা বেগম বিধবা রুনা আক্তারের শ্বশুর বাড়ির লোকজন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই ভাবিকে কুপ্রস্তাব দিতো দেবর মহরম আলী।
গত ১০ ই মার্চ দুপুরে একাপেয়ে মহরম আলী তার ভাবিকে জোরপূর্বক জরিয়ে ধরে কাপড় খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। রুনা আক্তারের চিৎকার শুনে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ধর্ষণ চেষ্টাকারী মহরম আলীকে কিছু না বলে রুনা আক্তারকে বেদড়ক মারধর করে। এ বিষয়ে কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি ও দেয় ধর্ষণচেষ্টাকারী ও তার স্বজনরা। ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী রুনা আক্তার বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই দেবর সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও শারীরিক নির্যাতন করতো ও আমাকে ভীবিন্ন সময় খারাপ উদ্দ্যেশে অকথ্য ভাষা বলত তাদের মূলত আমার সন্তানদের পৈত্তিক সম্পত্তি দখল করার উদ্দেশ্যে তারা এগুলো করতো। পরবর্তীতে মামলা করতে সরাইল থানায় আসি, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামলা না নেয়ায় আদালতে মামলা করেছি।
মননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন অসহায় এ বিধবা নারী। আদালত মামলাটি পিবিআই কে সঠিক তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন বলে জানা যায়।