ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর ঘাটের দরপত্রে হেরে বৈধ ইজারাদারের সরকারি রাজস্ব আদায়ে বাধা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঘাটের ইজারাদার মহিউদ্দিন মোল্লা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিআই) ১০ তম টেন্ডারে অংশ নিয়ে ৩০ আগস্ট ২০২১ হতে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত ১০ মাসের জন্য আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড এর ডিসচার্জ ওয়াটার চ্যানেল-১ এর পুর্ব পাশ হতে তাজপুর মৌজার কালাসুতা খালের পশ্চিম পাশ পর্যন্ত ঘাট এলাকা সর্বোচ্চ দরদাতা হয়ে ইজারা বুঝে নেই।
উক্ত দরপত্রে আসিফ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মো. জিতু মিয়া, মেসবাহ উদ্দিন বাবর, এস ডি এস ড্রেজারের মালিক ফারুক ও মাসুদ, আবির ড্রেজিং এর আনোয়ার হোসেনসহ একটি সিন্ডিকেট অংশ নিয়েছিল। কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ায় উক্ত সিন্ডিকেট ইজারা বঞ্চিত হয়। কিন্তু ইজারা না পেয়ে উক্ত মহলটি বৈধ ইজারাদারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। তারা ইজারাকৃত এলাকায় মাসুল আদায় করতে অন্যায়ভাবে বাধা দিচ্ছে।
এ ছাড়াও ইজারাকৃত এলাকার ইট ভাটা থেকে মাসুল আদায় করতে বাধা দিচ্ছে। পাশাপাশি মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আমি ও আমার লোকজনের সম্মান হানি করছে। প্রকৃতপক্ষে সরকারি নির্দেশনা মেনে আমরা মাসুল তুলছি। কারো কাছ থেকে বেশি টাকা নেয়া হচ্ছে না। তারপরেও ইজারা না পাওয়া কয়েকজন আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ সময় আশুগঞ্জ পুর্ব বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক ইমরান মোল্লা, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, বাবুল আহমেদ, মোর্শেদ খান, রফিকুল ইসলামসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দেলী গ্রামের বাসিন্দা মো. কবির আহাম্মদ খান দেলী গ্রামের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল ইসলাম খান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার খাড়েরা ইউনিয়নের সদস্য মো. খোকন মিয়াসহ গ্রামের স্থানীয় লোকজন।
অনলাইন সংস্করণ: বি.ন.টিভি