ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভাদুঘরে গত ৩০/০৪/২০১৭ইং সালের মুসলিম শরিয়তের বিধান মোতাবেক ৩ লহ্ম টাকা দেনমোহরে তাসলিমাকে বিয়ে করেন একি এলাকার ১২নং ওয়ার্ড নোয়াপাড়া (গোদারাঘাট) মহল্লার মোঃ রেনু মিয়ার ছেলে খায়ের মিয়া।
তাসলিমা (৩৪) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাদুঘর মহল্লার ১১নং ওয়ার্ডের মানউল্লা বাড়ির মোঃ কালু মিয়ার মেয়ে ।
বিয়ের সময় স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দাবী অনুসারে তাসলিমাকে ২:৫০ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান আসবাবপত্র উপহার হিসেবে দেওয়া হয় বাবার বাড়ি থেকে। বিয়ের পর অল্প কিছুদিন সুখে-শান্তিতে দাম্পত্য জীবনও পার হয় তাদের। তবে গুপনে খায়ের মিয়ার একজন পরকিয়া প্রেমিকা রয়েছে বলে জানতে পারেন তাসলিমা।
খায়ের মিয়া সিএনজি কেনার জন্য শশুর বাড়ি থেকে যৌতুকের জন্য তাসলিমাকে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে একাধিকবার সমাধান করার চেষ্টা করেও কোনো সুরাহা হয়নি।
এদিকে টাকা না পেয়ে পরকিয়া করে একটি বিয়ে করেন খায়ের। পরে বাধ্য হয়ে গত বছরের ১৫/০৯/১৯ইং তারিখ মোহরানা ও খোরপোষ দাবীকরে আদালতে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী তাসলিমা।
তাসলিমা বলেন, ‘যৌতুকের দাবি করা ৩ লাখ টাকা দিতে না পারায় তাকে অত্যাচার নির্যাতন করে বাবার বাড়ি ফেলে রাখে খায়ের। বাবার বাড়িতে রেখে আসার পর আমার কোন খোজখবর সে নেইনা এরই মধ্যে সে আরেকটি বিয়ে করে ফেলেন অামি প্রথম স্ত্রীর কোন প্রকার অনুমতি নেইনি সে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বর্তমানে পলাতক আছে ৷
আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলখাজতে পাঠানো হয় ৷ মামলা আপসের কথা বলে জামিন নেয় পরবর্তীতে সে মামলা আপস মিমাংসা করে নাই পুলিশের নজর ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে খায়ের। খুব দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে পুনরাই আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।’