বিজয়নগর ইসলামপুরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা,বাদীকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ

0
800


বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের খলাপাড়ায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।মামলার পর থেকে বাদীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন আসামি পক্ষের প্রভাবশালীরা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের খলাপাড়া এলাকার আয়ুব আলীর ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম পাশের বাড়ির ইসলামপুর আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা পরের দিন ১৬ অক্টোবর বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে।মামলার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে আসামির বড় ভাই আখতার হোসেন এলাকার বিভিন্ন প্রভাবশালীদেরকে নিয়ে বাদীপক্ষকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আপস-মীমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে।
মামলার বিবরণ সূত্রে আরো জানা যায়, মামলার আসামী আনোয়ারুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে এলাকার মেয়েদেরকে রাস্তা ঘাটে উত্যক্ত করে। ধর্ষণের শিকার মিতাকে ঘটনার পূর্ব থেকে বিভিন্ন সময় রাস্তা ঘাটে বিরক্ত করতো এমন কি বিভিন্ন ধরণের কু-প্রস্তাব দিতো। তার বাজে কু-প্রস্তাব মিতা প্রত্যখান করে আসছিল। ঘটনার কিছু পূর্বে মিতার কাছে খবর পাঠায় আসামীর ছোট বোন পুতুল তাকে ডাকছে। পুতুল কেন খবর দিয়েছে জানতে মিতা আসামীর বাড়ি যায়। আনোয়ারুলের কাছে পুতুল কোথায় আছে জানতে চায়, সেই সময় আসামীর ঘরে কেউ ছিল না। এ সুযোগে আসামী তার কু ভাসনা চরিতার্থ করার জন্য মিতাকে বলে পুতুল ঘরের ভেতরে আছে। এ কথা বিশ্বাস করে মিতা সরল মনে ঘরের ভিতর গেলে আনোয়ারুল দরজা বন্ধ করে টিভির ভলিয়ম বাড়িয়ে দেয় এবং গরু জবাইয়ের ছুরি দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে উড়না দিয়ে মিতার মুখ বেধে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং মিতার বিবস্ত্র অবস্থায় আনোয়ারুল তার মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এ ঘটনা কাউকে জানালে বা মামলা করলে মিতাকে জানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। সেই সাথে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে আপলোড করে দিবে বলে হুমকী প্রদান করে তাকে রেখে আসামী চলে যায়।

বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মির্জা মোহাম্মদ হাছান জানান, আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।বাদীপক্ষকে ভয়-ভীতি দেখানোর খবর পেয়েছি। বাদি জিডি করার কারণে ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ কে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি।