স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে ২ মণ জিলাপি বিতরণ

0
690

গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে ১২ বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি টেনে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন স্বামী গোলাম মোস্তফা। চূড়ান্তভাবে এই বিচ্ছেদ হওয়ায় অনেক খুশি তিনি। এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফা এতটাই উচ্ছ্বসিত যে এলাকায় দুই মণ জিলাপি বিতরণ করেছেন। মিষ্টিমুখে অংশ নেয় তার বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনরাও।

রবিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে পলাশবাড়ি উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভবানীপুর বাসুদেবপুর গ্রামে। স্বামী-স্ত্রী উভয়ের সম্মতি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে এই ডিভোর্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন স্থানীয় নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মো. শাহ আলম সরকার।

এদিকে, ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই এলাকাজুড়েই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পেশায় ধান-চাল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা বাসুদেবপুর গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে। গোলাম মোস্তফা ২০০৯ সালে ওই নারীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ১০ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মোস্তফার সঙ্গে ওই নারীর এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। বিয়ের পর সংসার ভালো চললেও কয়েক বছর পর শুরু হয় কলহ। এ নিয়ে তাদের প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। গোলাম মোস্তফা স্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার প্রক্রিয়া চালান মোস্তফা। অবশেষে উভয়ের সম্মতি এবং সবার উপস্থিতিতে ডিভোর্স সম্পন্ন হয়।

গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘স্ত্রী অবাধ্য হওয়ায় সংসারে অশান্তি ছিল। বিয়ের ১২ বছরে তার নানা অত্যাচারে জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। বারবার চেষ্টা করেও তাকে ডিভোর্স দিতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত উভয়ের সিদ্ধান্তে ডিভোর্স সম্পন্ন হয়েছে। এই বিচ্ছেদে বৈবাহিক জীবনের মুক্তি মিলেছে এবং অবসান হয়েছে অতিষ্ঠ জীবনের। এই আনন্দ-উচ্ছ্বাসে গ্রামের মানুষদের মাঝে দুই মণ জিলাপি বিতরণ করেছি। বাড়িতে ডেকে নিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়েছি বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ১০ বছরের মেয়ে বর্তমানে তার মায়ের কাছে থাকবে। সে চাইলে আমার কাছেও থাকতে পারবে। তবে মায়ের কাছে থাকলেও তার দেখাশোনা করবো।’

ওই নারী জানান, গোলাম মোস্তফার সঙ্গে সংসার করার ইচ্ছা তারও ছিল না। এখন ডিভোর্স হওয়ায় মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকবেন। ডিভোর্স দিয়ে গোলাম মোস্তফা শান্তিতে থাক এটাই কামনা করেন তার স্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মো. শাহ আলম সরকার বলেন, ‘উভয়ের আলোচনা ও সম্মতিতে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে তাদের ডিভোর্স সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় উভয় পরিবারের লোকজন ছাড়াও এলাকার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।’